সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

Blog লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ইউরোপে যেভাবে নির্মূল করা হয়েছিল গুটি বসন্তের প্রাদুর্ভাব

ইউরোপে সর্বশেষ গুটি বসন্তের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছিল ১৯৭২ সালে তৎকালীন  হুগোস্লাভিয়ায়। দেশটি তখন খুবই সফলভাবে এর মোকাবেলা করেছিল ব্যাপক  গণ-টিকাদান কর্মসূচির মাধ্যমে। ভাইরোলজিস্ট আনা গ্লিগিচ এই প্রাদুর্ভাব  মোকাবেলায় সাহায্য করেছিলেন। তার সঙ্গে কথা বলে ইতিহাসের সাক্ষীর এই  পর্বটি তৈরি করেছেন বিবিসির পেট্রা যিভিচ। গুটি বসন্ত এক সংক্রামক অসুখ, এটি ছড়ায় ভ্যারিওলা নামের এক ভাইরাসের  মাধ্যমে। ১৯৮০ সালে গুটি বসন্ত নির্মূলের আগের শতকগুলোতে এই রোগে বিশ্বে  লাখ লাখ মানুষ মারা গেছে। গুটি বসন্তের লক্ষণ হচ্ছে জ্বর, মাথাব্যথা, গলা-ব্যথা, শ্বাসযন্ত্রের  উপরের অংশে প্রদাহ। আক্রান্ত মানুষের কাশি বা হাঁচি থেকে বা তাদের গায়ের  চামড়ার ঘায়ের সরাসরি সংস্পর্শ থেকে এটি ছড়ায়। গুটি বসন্ত ছিল বিশ্বের ইতিহাসে প্রথম পুরোপুরি নির্মূল হওয়া কোন  সংক্রামক রোগ। এই সাফল্য ছিল চিকিৎসাবিজ্ঞান এবং জনস্বাস্থ্যের ইতিহাসে এক  ঐতিহাসিক ঘটনা। কিন্তু পুরোপুরি নির্মূল হওয়ার আগে এটি ১৯৭২ সালের বসন্তকালে শেষ বারের  মতো ইউরোপে ধাক্কা দিয়েছিল। আনা গ্লিগিচ ছিলেন সাবেক হুগোস্লাভিয়ার  রাজধানী বেলগ্রেডের সেই ল্যাবরেটরি

খাবার নিয়ে ভুল ধারনা।

খাবার নিয়ে মানুষের মধ্যে কিছু ধারণা বা বিশ্বাস চালু আছে অনেক দিন ধরে। যার মধ্যে কিছু আছে ভুল ও অযৌক্তিক, কোনো কোনোটি আবার যৌক্তিক ও বিজ্ঞানসম্মত। শুধু গ্রামে নয়, শহুরে অনেক শিক্ষিত মানুষও এসব মেনে চলেন।   কলা খেলে ঠান্ডা লাগে? ঠান্ডা, কাশি ও জ্বরের সময় কলা খেতে দেওয়া হয় না। বলা হয়, কলা খেলে ঠান্ডা লাগবে। কলায় উচ্চমাত্রার হিস্টামিন থাকে, যা মিউকাস ও শ্লেষ্মার পরিমাণ বাড়ায়। তাই শ্বাসতন্ত্রের কোনো রোগ যদি ১৪ দিনের বেশি থাকে, সে ক্ষেত্রে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন কলা খাওয়া যেতে পারে। তবে শিশু ও বয়স্কদের ঠান্ডা-কফ বা শ্বাসতন্ত্রের রোগে কলা সাময়িকভাবে না দেওয়াই ভালো। কিন্তু জেনে রাখুন, কলায় এমন কোনো উপাদান নেই, যা ঠান্ডা-সর্দি-কাশি তৈরি করবে। তেঁতুল খেলে প্রেশার কমে.? তেঁতুল পটাশিয়ামের খুব ভালো উৎস, যা সরাসরি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে জড়িত। তবে অনেকে প্রেশার কমাতে প্রচুর লবণ দিয়ে তেঁতুলপানি গুলে খান, যা প্রেশার আরও বাড়ায়। তা ছাড়া রক্তচাপ বাড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাওয়াই বাঞ্ছনীয়, তেঁতুলের ওপর ভরসা করলে চলবে না। তবে প্রতিদিন রান্নায় তেঁতুলের ব্যবহার করলে বা শাক-রসুন দিয়ে করা তেঁতুলের ট

মাত্র ৫ বছর বয়সে মা যে শিশু

সবচেয়ে অল্প বয়সে মা হয়েছে এমন একটি মেয়ের বয়স কত হতে পারে? ভাবতে গেলে সেটা বড়োজোর ৯/১০ বছরে গিয়ে ঠেকবে। স্বাভাবিকভাবে কেউ কি ভাবতে পারে মাত্র ৫ বছরের শিশুও সন্তানের জন্ম দিয়েছিল? আবারো ভেবে দেখুন ৫ বছরের একটি শিশু কিন্তু ‘কেবলই শিশু’ থাকে। এই বয়সে মেয়েরা হাফ পেন্ট পড়ে মাটির তৈরি খেলনা হাড়ি-পাতিল দিয়ে খেলা করে বেড়ায়। কিছুদিন আগেও প্রস্রাব করে বিছানা ভিজিয়ে ফেলতো। ব্যাপারটা অবাক করার মতো হলেও সত্য যে মাত্র ৫ বছর বয়সেই মা হয়েছিল ‘লিনা মেডিনা’ নামের এক শিশু। জন্মদানের সময় বয়স ছিল পাঁচ বছর সাত মাস। জন্ম দেয়া সন্তানটি ছিল সম্পূর্ণ সুস্থ এবং এমনকি সেই সন্তান ৪০ বছর পর্যন্ত বেঁচেওছিল। গর্ভধারণ অবস্থায় বাবা-মা তার অস্বাভাবিক পেট দেখে মনে করেছিল পেটে বুঝি টিউমার হয়েছে। পরে ডাক্তার জানায় মেয়েটি গর্ভবতী। এমন খবরে বাবা-মা তো একদম থ। ছেলে কোলে সর্বকনিষ্ঠ মা পরিচয় লিনা মেডিনা (Lina Medina) ১৯৩৩ সালের ২৭ শে সেপ্টেম্বর পেরুর হানকেভ্যালিকায় জন্মগ্রহণ করে। মেডিনাই এখন পর্যন্ত সফলভাবে সন্তান জন্মদানকারিণী সর্ব-কনিষ্ঠ মা। বর্তমানে তার বয়স ৮৩ বছর। তিনি পেরুর লিমা শহরে বসবাস করছেন। ডাক্তারের কোলে নবজাতক ও বেড

দ্বিপদ নামকরণ, কি, কেন, কিভাবে, গুরুত্ব ও ১০০ উদ্ভিদ ও প্রানীর বৈজ্ঞানিক নাম

  দ্বিপদ নামকরণ বা  দ্বিপদ নামকরণ কি : জীব সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে এবং জীবের শনাক্তকরণের জন্য প্রতিটি প্রজাতির জীবের একটি করে বৈজ্ঞানিক নামের প্রয়োজন হয়। জীবেদের বৈজ্ঞানিক নাম করনের পদ্ধতি ও নিয়ম  সম্বন্ধে ক্যারোলাস লিনিয়াস প্রথম উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ক্যারোলাস লিনিয়াস ই-প্রথম দ্বিপদ নামকরণ পদ্ধতির প্রচলন করেন। যেমন 'Mangifera indica'  হলো আমের বৈজ্ঞানিক নাম। এক্ষেত্রে ম্যাঙ্গিফেরা (Mangifera) হলো আমের গন বা জেনাস। আর ইন্ডিকা (indica) হলো আমের প্রজাতি । দ্বিপদ নামকরণ কাকে বলে ? অথবা, দ্বিপদ নামকরণ বলতে কি বুঝায় ?  আন্তর্জাতিক নিয়মাবলী অনুযায়ী প্রথমে গণ পরে প্রজাতির পদ যুক্ত করে জীবের নামকরণের পদ্ধতিকেই  দ্বিপদ নামকরণ  বা  binominal nomenclature or binary nomenclature  বলে। দ্বিপদ নামকরণের নিয়মাবলী কি ?  অথবা, দ্বিপদ নামকরণ পদ্ধতি কি ? আন্তর্জাতিক সংস্থা  ICBN  (ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ বোটানিক্যাল নোমেনকেচার) ও ICZN (ইন্টারন্যাশনাল কমিশন অন জুলজিকাল নোমেনকেচার) যথাক্রমে উদ্ভিদ ও প্রাণী দের নামকরণের নিয়ম তৈরি করে তাই দ্বিপদ নামকরণ।  দ্বিপদ নামকরনের নিয়ম: উদ্ভিদের নামক

কার্ল লিনিয়াস (Carolus Linnaeus)

কার্ল লিনিয়াস ( ১৩ই মে ,  ১৭০৭  -  ১০ই জানুয়ারি ,  ১৭৭৮ )  Signature  ক্যারোলাস লিনিয়াস (Carolus Linnaeus) একজন সুইডিশ বিজ্ঞানী ও চিকিৎসক । তিনি কার্ল লিনিয়াস (Carl Linnaeus) নামেও পরিচিত। উদ্ভিদবিজ্ঞান ও প্রাণিবিজ্ঞানে অবদানের পাশাপাশি আধুনিক দ্বিপদী নামকরণেও বিশেষ ভূমিকা রাখেন তিনি। তাঁকে আধুনিক শ্রেণিবিন্যাসবিদ্যার জনক বলা হয়। আধুনিক বাস্তুবিজ্ঞানেও তাঁর অবদান আছে। নিজের গণ্ডির বাইরে অন্যদের ওপরও তাঁর প্রভাব ছিল। এ সম্পর্কে খানিকটা জানা যাবে জার্মান লেখক য়োহান উনফলা ফন গ্যেটের উক্তি থেকে।  তিনি বলেছিলেন, 'দুনিয়ায় এ পর্যন্ত যত মানুষ এসেছে, তাদের মধ্যে শেকসপিয়ার ও স্পিনোজা বাদে আমার ওপর লিনিয়াসের প্রভাবই ছিল সবচেয়ে বেশি।' লিনিয়াস সম্পর্কে সুইডিশ লেখক অগাস্ট স্ট্রিনডবার্গ লিখেছেন, ' আসলে তিনি কবি ছিলেন, কিভাবে যেন প্রকৃতিবিদ হয়ে গেছেন!' ১৭০৭ সালে সুইডেনের এক গ্রামে লিনিয়াসের জন্ম। তাঁদের বাড়ির সামনে ছিল বিশাল এক লিন্ডেন গাছ। এই গাছের সঙ্গে মিল রেখে নামে 'লিনিয়াস' জুড়ে দেওয়া হয়। তাঁর বাবা নিলস ছিলেন পাদ্রি। তাই মা-বাবা চাইতেন ছেলেও যাজক হোক। তাঁর শিক্ষা

মেয়েদের সাইকোলজিঃ

  মেয়েদের সাইকোলজিঃ ১)একটি জরিপ প্রতিবেদনে আসে ৭০% নারীরা তাদের পেইন প্রকাশ করার মাধ্যম হিসাবে নিরবতাকে বেছে নেয়। ২)মেয়েরা ছেলেদের তুলনায় কারো ইমোশন বেশি বুঝতে ও পড়তে পাড়ে।  ৩)যখন কোনো নারী আপনাকে তার লাইফের সমস্যার কথা শেয়ার করবে তার মানে এই না যে সে আপনাকে অভিযোগ করছে।একটা মেয়ে তখনি তার সমস্যা শেয়ার করবে যখন সে আপনাকে বিশ্বাস করে। ৪) পুরুষের তুলনায় নারীরা কারো ফেইস মনে রাখতে অনেক বেশী দক্ষ্য। ৫)নারীরা কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় পুরুষের চেয়ে বেশি সময় নিয়ে গ্রহণ করে।কিন্তু যখন তারা একটা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ফেলে তারা সহজে এই সিদ্ধান্ত হতে পিছু হটে না।  ৬) নারী যখন কোনো একটা বিষয় সম্পর্কে কোনো পুরুষের কাছে সত্যতা যাচাই করে তখন এটা ভালো যে তাকে ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে অবগত করা।কারন   ঘটনাটির সত্যতা সম্পর্কে আগে হতে জেনেই সে আপনাকে কুয়েশ্চন করছে। ৭)একটি প্রতিবেদনে এসেছে নারীরা পুরুষের তুলনায় মাল্টিটাস্কিনে এক্সপার্ট।অথ্যৎ তারা একি সাথে অনেক গুলো কাজ করতে পারদর্শী।  ৮) মেয়েরা খুব সহজেই একজন পুরুষের শরীরের অঙ্গ-ভঙ্গি দেখে সে (পুরুষটি) কি বলতে চাইছে বুঝে যেতে পাড়ে, কিন্তু একজন পুরুষ এ

আপনি কি লাজুক প্রকৃতির? জেনেনিন, সহজেই লজ্জা দূর করার ৫ টি উপায়!

  আপনি কি লাজুক প্রকৃতির? জেনেনিন, সহজেই লজ্জা দূর করার ৫ টি উপায়! লজ্জা একটি সুন্দর আবেগ। লজ্জা মানুষকে ক্ষতিকর প্রবৃত্তি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। আর লজ্জার কারণেই আমরা অশোভন কার্যকলাপ থেকে সাধারণত নিজেদের বিরত রাখি। লজ্জার কারণেই আমরা অনেক সময় লোভনীয় কিন্তু সামাজিকভাবে অগ্রহণযোগ্য কার্যকলাপ, যেমন চুরি, পরকীয়া প্রেম ইত্যাদি থেকে বিরত থাকি। তবে লজ্জা স্বাভাবিকভাবে হিতকর হলেও এর অতিরিক্ত প্রভাব বা বিকৃত প্রভাব যে কোনও মানুষের জীবনকে বিড়ম্বিত এমনকি বিপর্যস্ত করে তুলতে পারে। লজ্জা তখন ক্রোধ, একগুঁয়েমি, অহঙ্কার, বিষণ্নতা, মৌনের মুখোশ পরিধান করতে পারে। সুপ্ত লজ্জায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা সবসময় লজ্জা ও গর্বের নাগরদোলায় দুলতে থাকে। সাফল্য এদের সাময়িকভাবে গর্বের পথে নিয়ে যায়, আবার যে কোনও ছোটখাট ব্যর্থতাও এদের মধ্যে লজ্জা ও অক্ষমতার অনুভূতিকে চাঙ্গা করে তোলে। এই সুপ্ত লজ্জার হাত থেকে যত নিষ্কৃতি পাওয়া যায়, ততই জীবন আনন্দময় হয়ে উঠতে পারে। তাই সুপ্ত লজ্জার হাত থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার জন্যে নিন্মোক্ত ৫টি পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। ★ লজ্জাকে প্রকাশ্যে নিয়ে আসাঃ শনাক্তকরণের মাধ্যমে লজ্

যাত্রাপথে বমি হয় কেন? প্রতিরোধে যা করবেন……

  যাত্রাপথে বমি হয় কেন?  প্রতিরোধে যা করবেন…… মোশন সিকনেস কেন হয়? আসলে গতি ও জড়তার ফলে মস্তিষ্কে সমন্বয়হীনতার বাহনগুলোতে বমির সমস্যা হয়ে থাকে । অন্তঃকর্ণ আমাদের শরীরের গতি ও জড়তার ভারসাম্য রক্ষা করে। যখন কেউ কোনো যানবাহনে চলাফেরা করেন তখন অন্তঃকর্ণ মস্তিষ্কে খবর পাঠায় যে সে গতিশীল। তবে চোখ বলে ভিন্ন কথা। কারণ তার সামনের বা পাশের মানুষগুলো কিংবা গাড়ির সিটগুলো থাকে স্থির। আমাদের চোখ আর অন্তঃকর্ণের এই সমন্বয়হীনতার কারণেই মোশন সিকনেস হয়। এছাড়া অ্যাসিডিটি, অসুস্থতা কিংবা গাড়ির ধোঁয়া কিংবা বাজে গন্ধের কারণেও গাড়িতে বমি হতে পারে। মোসন সিকনেস প্রতিরোধে কী করণীয়? >> যাদের এ সমস্যা আছে তারা গাড়ির উল্টো দিকের সিটে কখনো বসবেন না। কারণ উল্টোদিকে বসলে এতে বমিভাব বেশি হয়। চেষ্টা করবেন গাড়ির সামনের দিকে বসার। কারণ পেছনে বসলে গাড়িকে বেশি গতিশীল মনে হয়, ফলে দ্রুত ভারসাম্য নষ্ট হয় ও মোশন সিকনেস দেখা যায়। >> চেষ্টা করবেন জানালার পাশে বসার ও জানালা যেন খোলা থাকে । এসি পরিবহন হলে এক্ষেত্রে অবশ্য কিছু করার নেই। আর জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকার চেষ্টা করুন। এতে মোশন সিকনেস হওয়ার সম্ভাবনা কম থা
সব রেলস্টেশনের নাম হলুদ বোর্ডে কালো রঙ দিয়ে লেখা থাকে কেন.? ভারত তথা বিশ্বের গণপরিবহনের অন্যতম মাধ্যম হলো রেল পরিষেবা। আর এই রেল পরিষেবার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে নানান অজানা গল্প। ভারত তো বটেই, এমনকি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রেল পরিষেবার সঙ্গে এই ধরনের ইতিহাস এবং গল্প জড়িয়ে রয়েছে। যে সকল ইতিহাস এবং গল্প আশ্চর্য করে দেওয়ার মতোই। সেই রকমই একাধিক গল্প ভারতীয় রেল পরিষেবার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। এই সকল বিভিন্ন গল্পের মধ্যে একটি বিষয় হল, প্রতিটি রেলস্টেশনের নাম হলুদ বোর্ডে কালো রঙে কেন লেখা থাকে? নিয়মিত এই জিনিষটি চোখে পড়লেও অনেক ক্ষেত্রে আমরা ভেবে দেখি না অথবা এর কারণ জানিনা। কিন্তু এর পিছনে রয়েছে নির্দিষ্ট একটি কারণ। প্রতিটি রেলস্টেশনে সেই রেল স্টেশনের নাম মূলত হলুদ বোর্ডে কালো রং দিয়ে লিখে রাখার কারণ হলো, হলুদ রং খুব সহজে চোখে পড়ে। আবার হলুদের উপর কালো রং দিয়ে লেখা থাকলে তা আরও সহজে চোখে পড়ে। যে কারণে চালকরা খুব সহজে দূর থেকে কোন স্টেশন আসছে তা বুঝতে পারেন। অন্যদিকে হলুদ রং ছাড়াও লাল রং চট করে চোখে পড়ে। কিন্তু হলুদ রংই কেন ব্যবহার করা হয়ে থাকে? কারণ হলো হলুদ রং সহজেই চোখে পড়

সফল ব্যক্তিরা প্রতিদিন একই পোশাক পরেন কেন?

  সফল ব্যক্তিরা প্রতিদিন একই পোশাক পরেন কেন? ★ সময়ের অপচয় রোধঃ যখন আমাদের অনেক কাপড় থাকে, তখন আমরা সহজেই বিভ্রান্ত হই এবং কোন পোশাকটি পরবো তা বেছে নিতে সময় লাগে। কিন্তু যদি আপনার পোশাকে শুধুমাত্র কালো টি-শার্ট এবং একই রঙের জিন্স থাকে তবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কিছু নেই। আপনি সময় বাঁচাতে পারবেন এবং আরও উত্পাদনশীল হয়ে উঠতে পারবেন। ★ খরচ কমায়ঃ নানা ধরনের পোশাক কিনলে অর্থ অপচয় বেশি হবে। এইক ধরনের পোশাক পরার সিদ্ধান্ত নিলে আপনাকে খুব বেশি পোশাক কিনতে হবে না। আর এই পোশাকের দাম যেহেতু আপনার জানা, তাই কিনতে গিয়ে ঠকে যাওয়ারও ভয় নেই। অযথা খরচ কমানো গেলে তা আপনাকে আরও অনেক বিষয়ে সাশ্রয়ী হওয়ার পথ বাতলে দেবে। ★ গুণমানঃ যেহেতু আপনি একই ধরনের পরবেন, তাই আপনার পোশাকের মান এখানে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। সেরা কোনো ব্র্যান্ড থেকে কেনাকাটা করুন, যে ব্র্যান্ডগুলো আপনার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সেগুলোই নির্বাচন করুন। এতে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন যে আপনার জামাকাপড় উত্কৃষ্ট। সেই আত্মবিশ্বাস আপনার মুখেও দেখা যাবে। ★ অদ্বিতীয়ঃ প্রতিদিন একই পোশাক পরার মাধ্যমে আপনি সবার থেকে আলাদা হয়ে দাঁড়ান এবং আপনাকে একশোজন মানুষ

দোয়েলকে আমাদের জাতীয় পাখি বলা হয় কেন?

  দোয়েলকে আমাদের জাতীয় পাখি বলা হয় কেন? এ বিষয়ে বরেণ্য পাখি বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ইনাম আল হক বলেন, ' প্র থম কথা, জাতীয় কিছু করা মানে অর্থাৎ পশু, পাখি, বৃক্ষ, ফল ইত্যাদি সিম্বলিক (প্রতীক) ব্যাপার মাত্র। এটাকে সৌখিনও বলা হয়। সৌখিনতার চাইতে আর কোনো গুরুত্বপূর্ণ দিক নেই। এখানে শুধু দুটো জিনিস সাধারণত ভালো করে দেখা হয়। প্রথমটি হলো- ওই দেশে ওই জিনিসটা বেশি সংখ্যক রয়েছে কি-না? প্রচুর সংখ্যক থাকার অর্থই হলো ওই দেশকে সে রিপ্রেজেন্ট (উপস্থাপন) করছে। যেমন ধরা যাক ইলিশ মাছের কথা। যে কোনো মাছের নাম জানে না সেও ইলিশ মাছের নাম জানে। এই মাছটি এতো ব্যাপকভাবে পরিচিত যে আমরা সবাই এর নাম জানি। ওই পাখিটিরও এমনই ব্যাপক পরিচিত এবং জনপ্রিয় থাকতে হবে। লোকের মুখে মুখে হতে হবে। তবেই সেটি জাতীয় বলে অখ্যায়িত হওয়ার চূড়ান্ত যোগ্যতা রাখে। দ্বিতীয়ত, অন্য কোনো দেশ এটিকে তাদের জাতীয় করে ফেলেছে কি-না, সেটি দেখা। যদি দোয়েল ভারতের জাতীয় পাখি হতো, তবে বাংলাদেশ কখনোই তাকে জাতীয় পাখি হিসেবে তালিকাভুক্ত করত না। অধিক পরিচিতি এবং অন্য কোনো দেশ এটিকে জাতীয় হিসেবে আগেই তালিকাভুক্ত করেছে ক

পিরামিডের দেশ মিশরের থেকেও বেশি পিরামিড সুদানে।

  পিরামিডের দেশ মিশরের থেকেও বেশি পিরামিড সুদানে।   শুনতে অবাক লাগলেও, সবচেয়ে বেশি পিরামিডের দেশ নয় মিসর। সর্বাধিক পিরামিডের মালিক দেশটির নাম সুদান।  মিসরে পিরামিডের সংখ্যা ১৩৮ , সেখানে  সুদানে পিরামিডের সংখ্যা ২৫৫ । সুদানের পিরামিডগুলো তৈরি হয়েছে  খ্রিস্টপূর্ব এক হাজার ৭০ থেকে ৩৫০ অব্দে , কুশ নামের রাজাদের শাসনামলে। তবে এগুলো তৈরি হয়েছে মিসরে পিরামিড তৈরি হওয়ার রেওয়াজ চালু হওয়ার ৫০০ বছর পরে। মিসরের শ্রেষ্ঠত্ব উচ্চতায়ও। কুশি পিরামিডগুলোর উচ্চতা ছয় থেকে ৩০ মিটার (২০ থেকে ৯৮ ফুট) পর্যন্ত। যেখানে মিসরের পিরামিডগুলোর গড় উচ্চতা ১৩৮ মিটার বা ৪৫৩ ফুট। তবে সবচেয়ে উঁচু পিরামিডটিও কিন্তু মিসরে নয়; বরং মেক্সিকোয়।আর কুশি পিরামিডগুলোর বহির্গাত্র সমান নয়; বরং ধাপযুক্ত। অন্যদিকে মিসরের পিরামিডগুলোর বহির্গাত্র মসৃণ। দুই দেশেই কিন্তু একই উদ্দেশ্যে পিরামিড তৈরি করা হয়েছে। শবদেহের আধার হিসেবে। তবে সুদানের পিরামিডগুলো নিয়ে বেশি গবেষণা হয়নি এখনো। অনেক প্রশ্নেরই উত্তর খোঁজা বাকি। যেমন মিসরিদের মতো একই পদ্ধতিতে কি পিরামিডগুলো তৈরি? বা একেকটি পিরামিড তৈরিতে সময় কেমন লেগেছে? আনন্দের খবর হলো প্রত্নতাত্ত্বিকরা এ