সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

কার্ল লিনিয়াস (Carolus Linnaeus)

কার্ল লিনিয়াস (১৩ই মে১৭০৭ - ১০ই জানুয়ারি১৭৭৮


ক্যারোলাস লিনিয়াস (Carolus Linnaeus) একজন সুইডিশ বিজ্ঞানী ও চিকিৎসক। তিনি কার্ল লিনিয়াস (Carl Linnaeus) নামেও পরিচিত। উদ্ভিদবিজ্ঞান ও প্রাণিবিজ্ঞানে অবদানের পাশাপাশি আধুনিক দ্বিপদী নামকরণেও বিশেষ ভূমিকা রাখেন তিনি। তাঁকে আধুনিক শ্রেণিবিন্যাসবিদ্যার জনক বলা হয়। আধুনিক বাস্তুবিজ্ঞানেও তাঁর অবদান আছে।

নিজের গণ্ডির বাইরে অন্যদের ওপরও তাঁর প্রভাব ছিল। এ সম্পর্কে খানিকটা জানা যাবে জার্মান লেখক য়োহান উনফলা ফন গ্যেটের উক্তি থেকে।

 তিনি বলেছিলেন, 'দুনিয়ায় এ পর্যন্ত যত মানুষ এসেছে, তাদের মধ্যে শেকসপিয়ার ও স্পিনোজা বাদে আমার ওপর লিনিয়াসের প্রভাবই ছিল সবচেয়ে বেশি।'

  • লিনিয়াস সম্পর্কে সুইডিশ লেখক অগাস্ট স্ট্রিনডবার্গ লিখেছেন, 'আসলে তিনি কবি ছিলেন, কিভাবে যেন প্রকৃতিবিদ হয়ে গেছেন!'

১৭০৭ সালে সুইডেনের এক গ্রামে লিনিয়াসের জন্ম। তাঁদের বাড়ির সামনে ছিল বিশাল এক লিন্ডেন গাছ। এই গাছের সঙ্গে মিল রেখে নামে 'লিনিয়াস' জুড়ে দেওয়া হয়। তাঁর বাবা নিলস ছিলেন পাদ্রি। তাই মা-বাবা চাইতেন ছেলেও যাজক হোক।

তাঁর শিক্ষাজীবনের বেশির ভাগ সময় কেটেছে উপসালা ইউনিভার্সিটিতে। ১৭৩০ সালে তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই প্রভাষক হন। শুরুর দিকে খনিজ, উদ্ভিদ নিয়ে লেখালেখির কারণে পরিচিতি পান। ১৭৩৫ থেকে ১৭৩৮ সাল পর্যন্ত তিনি দেশের বাইরে ছিলেন। ওই সময় নেদারল্যান্ডসে তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ 'Systema Naturae' এর প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হয়।

Systema Naturae


লিনিয়াসই প্রথম জীবজগৎকে উদ্ভিদ ও প্রাণিকুলে শ্রেণিবিন্যাস করেন। তাই তাঁকে জীবজগৎ শৃঙ্খলাবদ্ধ করার প্রথম প্রবক্তা মনে করা হয়। উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রজাতিগুলোকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করে দ্বিপদী নামকরণ চালু করেন। এর আগে বিভিন্ন প্রজাতির বৈজ্ঞানিক নাম নিয়ে জটিলতা ছিল, নামের তালিকাও বড় ছিল।

  • তিনি যেসব উদ্ভিদ ও প্রাণীর দ্বিপদী নাম রেখেছেন, সেগুলোর শেষে তাঁর নামের প্রথম অক্ষরটি (L) থাকে।
  • লিনিয়াস মানুষ প্রজাতির নাম রাখেন 'হোমো স্যাপিয়েন্স'। ল্যাটিন এ শব্দটির মানে হলো 'জ্ঞানী মানুষ'। 


তিনি ১৭৭৮ সালে মারা যান। কবর ফলকে তাঁর নামের পাশে লেখা হয় 'হোমো স্যাপিয়েন্স'।


বিষয়-সংক্ষেপ : অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান বইয়ের পৃষ্ঠা ২

মন্তব্যসমূহ

Popular post

নিকোলা টেসলাঃ ভুল সময়ে জন্ম নেয়া কিংবদন্তী।

  নিকোলা টেসলাঃ ভুল সময়ে জন্ম নেয়া কিংবদন্তী।  টেসলার জন্মকাহিনীঃ    কথিত আছে, টেসলার জন্ম হয় প্রচণ্ড ঝড় ও বজ্রপাতের রাতে। এরকম ঘটনাকে অশুভ সংকেত মনে করে সেই সময়ে ধাত্রী টেসলাকে ‘অন্ধকারের সন্তান’ (Child Of Darkness) বলেন। কিন্তু এতে টেসলার মা অপমানিত বোধ করে এর বিরোধিতা করে বলেন, টেসলা হবে ‘আলোর সন্তান’ (Child of Light); টেসলার মায়ের সেই ভবিষ্যৎ বানী যে কতটা কার্যকর ছিল তা নিশ্চয়ই আর বলার অপেক্ষা রাখে না !  টেসলার দূরদৃষ্টি এবং বেতার ইন্টারনেট : টেসলা তার সব চমৎকার উদ্ভাবনী চিন্তা বাস্তবে রূপান্তর করে যেতে পারেননি। তিনি ওয়্যারলেস পাওয়ার ট্রান্সমিশন নিয়ে বহু গবেষণা করেন। সেই ১৯০১ সালেই তিনি এসবের কথা চিন্তা করেন যার সুফল আমরা এখন ভোগ করছি। তিনি রেডিও জ্যোতির্বিদ্যার ক্ষেত্রে ‘ডেথ-রে’ (death-ray) নামক একটা কণার কথা চিন্তা করেন যার বাস্তব কোন রূপ তিনি দিয়ে যেতে পারেননি। টেসলার জাদুকরী স্মরণশক্তি : বিজ্ঞানী টেসলার স্মরণশক্তি এতটাই তীক্ষ্ণ ছিল যে তিনি একটা বই পড়লে তার প্রতিটি লাইন ও ছবি সহ বিশদভাবে মনে করতে পারতেন । তার প্রখর কল্পনা শক্তির কারণে ছোটবেলায় প্রায়ই ভয়ংকর দুঃস্বপ্ন দেখতেন। প