সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

সব রেলস্টেশনের নাম হলুদ বোর্ডে কালো রঙ দিয়ে লেখা থাকে কেন.?



ভারত তথা বিশ্বের গণপরিবহনের অন্যতম মাধ্যম হলো রেল পরিষেবা। আর এই রেল পরিষেবার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে নানান অজানা গল্প। ভারত তো বটেই, এমনকি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রেল পরিষেবার সঙ্গে এই ধরনের ইতিহাস এবং গল্প জড়িয়ে রয়েছে। যে সকল ইতিহাস এবং গল্প আশ্চর্য করে দেওয়ার মতোই।


সেই রকমই একাধিক গল্প ভারতীয় রেল পরিষেবার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। এই সকল বিভিন্ন গল্পের মধ্যে একটি বিষয় হল, প্রতিটি রেলস্টেশনের নাম হলুদ বোর্ডে কালো রঙে কেন লেখা থাকে? নিয়মিত এই জিনিষটি চোখে পড়লেও অনেক ক্ষেত্রে আমরা ভেবে দেখি না অথবা এর কারণ জানিনা। কিন্তু এর পিছনে রয়েছে নির্দিষ্ট একটি কারণ।


প্রতিটি রেলস্টেশনে সেই রেল স্টেশনের নাম মূলত হলুদ বোর্ডে কালো রং দিয়ে লিখে রাখার কারণ হলো, হলুদ রং খুব সহজে চোখে পড়ে। আবার হলুদের উপর কালো রং দিয়ে লেখা থাকলে তা আরও সহজে চোখে পড়ে। যে কারণে চালকরা খুব সহজে দূর থেকে কোন স্টেশন আসছে তা বুঝতে পারেন।


অন্যদিকে হলুদ রং ছাড়াও লাল রং চট করে চোখে পড়ে। কিন্তু হলুদ রংই কেন ব্যবহার করা হয়ে থাকে? কারণ হলো হলুদ রং সহজেই চোখে পড়লেও লাল রঙের মতো চাপ সৃষ্টি করে না। যে কারণেই হলুদ রং ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এর পাশাপাশি হলুদ রং মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করে এবং মনের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।


যে কারণে স্কুল বাসের রং হলুদ করা হয়ে থাকে। কারণ তাতে দূর থেকে বোঝা যায় স্কুল বাস আসছে। আবার রেলের ক্ষেত্রে স্টেশনের নাম লেখার বোর্ডে লাল রঙ ব্যবহার না করার আরও একটি কারণ হলো, বিপদ নির্দেশ করার জন্য রেল লাল রং ব্যবহার করে থাকে।


Follw BigyanPoka on Facebook 

মন্তব্যসমূহ

Popular post

নিকোলা টেসলাঃ ভুল সময়ে জন্ম নেয়া কিংবদন্তী।

  নিকোলা টেসলাঃ ভুল সময়ে জন্ম নেয়া কিংবদন্তী।  টেসলার জন্মকাহিনীঃ    কথিত আছে, টেসলার জন্ম হয় প্রচণ্ড ঝড় ও বজ্রপাতের রাতে। এরকম ঘটনাকে অশুভ সংকেত মনে করে সেই সময়ে ধাত্রী টেসলাকে ‘অন্ধকারের সন্তান’ (Child Of Darkness) বলেন। কিন্তু এতে টেসলার মা অপমানিত বোধ করে এর বিরোধিতা করে বলেন, টেসলা হবে ‘আলোর সন্তান’ (Child of Light); টেসলার মায়ের সেই ভবিষ্যৎ বানী যে কতটা কার্যকর ছিল তা নিশ্চয়ই আর বলার অপেক্ষা রাখে না !  টেসলার দূরদৃষ্টি এবং বেতার ইন্টারনেট : টেসলা তার সব চমৎকার উদ্ভাবনী চিন্তা বাস্তবে রূপান্তর করে যেতে পারেননি। তিনি ওয়্যারলেস পাওয়ার ট্রান্সমিশন নিয়ে বহু গবেষণা করেন। সেই ১৯০১ সালেই তিনি এসবের কথা চিন্তা করেন যার সুফল আমরা এখন ভোগ করছি। তিনি রেডিও জ্যোতির্বিদ্যার ক্ষেত্রে ‘ডেথ-রে’ (death-ray) নামক একটা কণার কথা চিন্তা করেন যার বাস্তব কোন রূপ তিনি দিয়ে যেতে পারেননি। টেসলার জাদুকরী স্মরণশক্তি : বিজ্ঞানী টেসলার স্মরণশক্তি এতটাই তীক্ষ্ণ ছিল যে তিনি একটা বই পড়লে তার প্রতিটি লাইন ও ছবি সহ বিশদভাবে মনে করতে পারতেন । তার প্রখর কল্পনা শক্তির কারণে ছোটবেলায় প্রায়ই ভয়ংকর দুঃস্বপ্ন দেখতেন। প