সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

যাত্রাপথে বমি হয় কেন? প্রতিরোধে যা করবেন……

  যাত্রাপথে বমি হয় কেন?  প্রতিরোধে যা করবেন…… মোশন সিকনেস কেন হয়? আসলে গতি ও জড়তার ফলে মস্তিষ্কে সমন্বয়হীনতার বাহনগুলোতে বমির সমস্যা হয়ে থাকে । অন্তঃকর্ণ আমাদের শরীরের গতি ও জড়তার ভারসাম্য রক্ষা করে। যখন কেউ কোনো যানবাহনে চলাফেরা করেন তখন অন্তঃকর্ণ মস্তিষ্কে খবর পাঠায় যে সে গতিশীল। তবে চোখ বলে ভিন্ন কথা। কারণ তার সামনের বা পাশের মানুষগুলো কিংবা গাড়ির সিটগুলো থাকে স্থির। আমাদের চোখ আর অন্তঃকর্ণের এই সমন্বয়হীনতার কারণেই মোশন সিকনেস হয়। এছাড়া অ্যাসিডিটি, অসুস্থতা কিংবা গাড়ির ধোঁয়া কিংবা বাজে গন্ধের কারণেও গাড়িতে বমি হতে পারে। মোসন সিকনেস প্রতিরোধে কী করণীয়? >> যাদের এ সমস্যা আছে তারা গাড়ির উল্টো দিকের সিটে কখনো বসবেন না। কারণ উল্টোদিকে বসলে এতে বমিভাব বেশি হয়। চেষ্টা করবেন গাড়ির সামনের দিকে বসার। কারণ পেছনে বসলে গাড়িকে বেশি গতিশীল মনে হয়, ফলে দ্রুত ভারসাম্য নষ্ট হয় ও মোশন সিকনেস দেখা যায়। >> চেষ্টা করবেন জানালার পাশে বসার ও জানালা যেন খোলা থাকে । এসি পরিবহন হলে এক্ষেত্রে অবশ্য কিছু করার নেই। আর জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকার চেষ্টা করুন। এতে মোশন সিকনেস হওয়ার সম্ভাবনা কম থা
সব রেলস্টেশনের নাম হলুদ বোর্ডে কালো রঙ দিয়ে লেখা থাকে কেন.? ভারত তথা বিশ্বের গণপরিবহনের অন্যতম মাধ্যম হলো রেল পরিষেবা। আর এই রেল পরিষেবার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে নানান অজানা গল্প। ভারত তো বটেই, এমনকি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রেল পরিষেবার সঙ্গে এই ধরনের ইতিহাস এবং গল্প জড়িয়ে রয়েছে। যে সকল ইতিহাস এবং গল্প আশ্চর্য করে দেওয়ার মতোই। সেই রকমই একাধিক গল্প ভারতীয় রেল পরিষেবার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। এই সকল বিভিন্ন গল্পের মধ্যে একটি বিষয় হল, প্রতিটি রেলস্টেশনের নাম হলুদ বোর্ডে কালো রঙে কেন লেখা থাকে? নিয়মিত এই জিনিষটি চোখে পড়লেও অনেক ক্ষেত্রে আমরা ভেবে দেখি না অথবা এর কারণ জানিনা। কিন্তু এর পিছনে রয়েছে নির্দিষ্ট একটি কারণ। প্রতিটি রেলস্টেশনে সেই রেল স্টেশনের নাম মূলত হলুদ বোর্ডে কালো রং দিয়ে লিখে রাখার কারণ হলো, হলুদ রং খুব সহজে চোখে পড়ে। আবার হলুদের উপর কালো রং দিয়ে লেখা থাকলে তা আরও সহজে চোখে পড়ে। যে কারণে চালকরা খুব সহজে দূর থেকে কোন স্টেশন আসছে তা বুঝতে পারেন। অন্যদিকে হলুদ রং ছাড়াও লাল রং চট করে চোখে পড়ে। কিন্তু হলুদ রংই কেন ব্যবহার করা হয়ে থাকে? কারণ হলো হলুদ রং সহজেই চোখে পড়

নিকোলা টেসলাঃ ভুল সময়ে জন্ম নেয়া কিংবদন্তী।

  নিকোলা টেসলাঃ ভুল সময়ে জন্ম নেয়া কিংবদন্তী।  টেসলার জন্মকাহিনীঃ    কথিত আছে, টেসলার জন্ম হয় প্রচণ্ড ঝড় ও বজ্রপাতের রাতে। এরকম ঘটনাকে অশুভ সংকেত মনে করে সেই সময়ে ধাত্রী টেসলাকে ‘অন্ধকারের সন্তান’ (Child Of Darkness) বলেন। কিন্তু এতে টেসলার মা অপমানিত বোধ করে এর বিরোধিতা করে বলেন, টেসলা হবে ‘আলোর সন্তান’ (Child of Light); টেসলার মায়ের সেই ভবিষ্যৎ বানী যে কতটা কার্যকর ছিল তা নিশ্চয়ই আর বলার অপেক্ষা রাখে না !  টেসলার দূরদৃষ্টি এবং বেতার ইন্টারনেট : টেসলা তার সব চমৎকার উদ্ভাবনী চিন্তা বাস্তবে রূপান্তর করে যেতে পারেননি। তিনি ওয়্যারলেস পাওয়ার ট্রান্সমিশন নিয়ে বহু গবেষণা করেন। সেই ১৯০১ সালেই তিনি এসবের কথা চিন্তা করেন যার সুফল আমরা এখন ভোগ করছি। তিনি রেডিও জ্যোতির্বিদ্যার ক্ষেত্রে ‘ডেথ-রে’ (death-ray) নামক একটা কণার কথা চিন্তা করেন যার বাস্তব কোন রূপ তিনি দিয়ে যেতে পারেননি। টেসলার জাদুকরী স্মরণশক্তি : বিজ্ঞানী টেসলার স্মরণশক্তি এতটাই তীক্ষ্ণ ছিল যে তিনি একটা বই পড়লে তার প্রতিটি লাইন ও ছবি সহ বিশদভাবে মনে করতে পারতেন । তার প্রখর কল্পনা শক্তির কারণে ছোটবেলায় প্রায়ই ভয়ংকর দুঃস্বপ্ন দেখতেন। প

সফল ব্যক্তিরা প্রতিদিন একই পোশাক পরেন কেন?

  সফল ব্যক্তিরা প্রতিদিন একই পোশাক পরেন কেন? ★ সময়ের অপচয় রোধঃ যখন আমাদের অনেক কাপড় থাকে, তখন আমরা সহজেই বিভ্রান্ত হই এবং কোন পোশাকটি পরবো তা বেছে নিতে সময় লাগে। কিন্তু যদি আপনার পোশাকে শুধুমাত্র কালো টি-শার্ট এবং একই রঙের জিন্স থাকে তবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কিছু নেই। আপনি সময় বাঁচাতে পারবেন এবং আরও উত্পাদনশীল হয়ে উঠতে পারবেন। ★ খরচ কমায়ঃ নানা ধরনের পোশাক কিনলে অর্থ অপচয় বেশি হবে। এইক ধরনের পোশাক পরার সিদ্ধান্ত নিলে আপনাকে খুব বেশি পোশাক কিনতে হবে না। আর এই পোশাকের দাম যেহেতু আপনার জানা, তাই কিনতে গিয়ে ঠকে যাওয়ারও ভয় নেই। অযথা খরচ কমানো গেলে তা আপনাকে আরও অনেক বিষয়ে সাশ্রয়ী হওয়ার পথ বাতলে দেবে। ★ গুণমানঃ যেহেতু আপনি একই ধরনের পরবেন, তাই আপনার পোশাকের মান এখানে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। সেরা কোনো ব্র্যান্ড থেকে কেনাকাটা করুন, যে ব্র্যান্ডগুলো আপনার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সেগুলোই নির্বাচন করুন। এতে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন যে আপনার জামাকাপড় উত্কৃষ্ট। সেই আত্মবিশ্বাস আপনার মুখেও দেখা যাবে। ★ অদ্বিতীয়ঃ প্রতিদিন একই পোশাক পরার মাধ্যমে আপনি সবার থেকে আলাদা হয়ে দাঁড়ান এবং আপনাকে একশোজন মানুষ

দোয়েলকে আমাদের জাতীয় পাখি বলা হয় কেন?

  দোয়েলকে আমাদের জাতীয় পাখি বলা হয় কেন? এ বিষয়ে বরেণ্য পাখি বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ইনাম আল হক বলেন, ' প্র থম কথা, জাতীয় কিছু করা মানে অর্থাৎ পশু, পাখি, বৃক্ষ, ফল ইত্যাদি সিম্বলিক (প্রতীক) ব্যাপার মাত্র। এটাকে সৌখিনও বলা হয়। সৌখিনতার চাইতে আর কোনো গুরুত্বপূর্ণ দিক নেই। এখানে শুধু দুটো জিনিস সাধারণত ভালো করে দেখা হয়। প্রথমটি হলো- ওই দেশে ওই জিনিসটা বেশি সংখ্যক রয়েছে কি-না? প্রচুর সংখ্যক থাকার অর্থই হলো ওই দেশকে সে রিপ্রেজেন্ট (উপস্থাপন) করছে। যেমন ধরা যাক ইলিশ মাছের কথা। যে কোনো মাছের নাম জানে না সেও ইলিশ মাছের নাম জানে। এই মাছটি এতো ব্যাপকভাবে পরিচিত যে আমরা সবাই এর নাম জানি। ওই পাখিটিরও এমনই ব্যাপক পরিচিত এবং জনপ্রিয় থাকতে হবে। লোকের মুখে মুখে হতে হবে। তবেই সেটি জাতীয় বলে অখ্যায়িত হওয়ার চূড়ান্ত যোগ্যতা রাখে। দ্বিতীয়ত, অন্য কোনো দেশ এটিকে তাদের জাতীয় করে ফেলেছে কি-না, সেটি দেখা। যদি দোয়েল ভারতের জাতীয় পাখি হতো, তবে বাংলাদেশ কখনোই তাকে জাতীয় পাখি হিসেবে তালিকাভুক্ত করত না। অধিক পরিচিতি এবং অন্য কোনো দেশ এটিকে জাতীয় হিসেবে আগেই তালিকাভুক্ত করেছে ক

পিরামিডের দেশ মিশরের থেকেও বেশি পিরামিড সুদানে।

  পিরামিডের দেশ মিশরের থেকেও বেশি পিরামিড সুদানে।   শুনতে অবাক লাগলেও, সবচেয়ে বেশি পিরামিডের দেশ নয় মিসর। সর্বাধিক পিরামিডের মালিক দেশটির নাম সুদান।  মিসরে পিরামিডের সংখ্যা ১৩৮ , সেখানে  সুদানে পিরামিডের সংখ্যা ২৫৫ । সুদানের পিরামিডগুলো তৈরি হয়েছে  খ্রিস্টপূর্ব এক হাজার ৭০ থেকে ৩৫০ অব্দে , কুশ নামের রাজাদের শাসনামলে। তবে এগুলো তৈরি হয়েছে মিসরে পিরামিড তৈরি হওয়ার রেওয়াজ চালু হওয়ার ৫০০ বছর পরে। মিসরের শ্রেষ্ঠত্ব উচ্চতায়ও। কুশি পিরামিডগুলোর উচ্চতা ছয় থেকে ৩০ মিটার (২০ থেকে ৯৮ ফুট) পর্যন্ত। যেখানে মিসরের পিরামিডগুলোর গড় উচ্চতা ১৩৮ মিটার বা ৪৫৩ ফুট। তবে সবচেয়ে উঁচু পিরামিডটিও কিন্তু মিসরে নয়; বরং মেক্সিকোয়।আর কুশি পিরামিডগুলোর বহির্গাত্র সমান নয়; বরং ধাপযুক্ত। অন্যদিকে মিসরের পিরামিডগুলোর বহির্গাত্র মসৃণ। দুই দেশেই কিন্তু একই উদ্দেশ্যে পিরামিড তৈরি করা হয়েছে। শবদেহের আধার হিসেবে। তবে সুদানের পিরামিডগুলো নিয়ে বেশি গবেষণা হয়নি এখনো। অনেক প্রশ্নেরই উত্তর খোঁজা বাকি। যেমন মিসরিদের মতো একই পদ্ধতিতে কি পিরামিডগুলো তৈরি? বা একেকটি পিরামিড তৈরিতে সময় কেমন লেগেছে? আনন্দের খবর হলো প্রত্নতাত্ত্বিকরা এ